ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনার দুই বছর পর পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের জহিরুল হাসেম নামে এক যুবকের হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পিবিআই। হত্যাকান্ডে জড়িত শাহরিয়ার নাফিস অমিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দীর্ঘ দুই বছর পরে জহিরুল হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাহরিয়ার নাফিস শহরের হালদারপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। নাফিজ আদালতে জহিরুল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পৈরতলা দায়রাপুর রেলব্রীজে জহিরুল হাসেমের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে জহিরুলের মা জহোরা কোনো ভাবেই ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তিনি সন্দেহ করছিলেন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জহিরুলের মা গত ২০২২ সালের ৮ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলার এজাহার জমা দেন। আদালতটি এজাহারটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তে তারা জানতে পারেন জহিরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। হত্যার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ট্রেনে কাটা পড়ে জহিরুলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে হত্যাকারীরা।
তদন্তে জানা যায়, নিহত জহিরুলের কাছ থেকে তার বন্ধু শাহরিয়ার নাফিস অমি ৭ হাজার টাকা ও বন্ধু বাবু ৪ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। তাছাড়াও হত্যাকান্ডের ২দিন আগে জহিরুলের টাচ মোবাইল ফোনটিও নেয় শাহরিয়ার নাফিস অমি। পরে অমি জহিরুলের ফোনটি বিক্রি করে দেয়। জহিরুল অমি ও বাবুর কাছে হাওলাত দেয়া টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত চাইলে তাদের বাকবিতন্ডা হয়।
গত ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর সকালে জহিরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। সারাদিন বিভিন্নস্থানে আড্ডা দিয়ে রাত ১ টায় জহিরুলকে অমি, বাবুসহ তাদের আরো ৫/৬জন সহযোগী পৈরতলা রেলগেইটের (দায়রাপুর ব্রীজ) নিয়ে যায়। রাত ৩ টায় একটি ট্রেন আসলে শাহরিয়ার নাফিস অমি ও তাদের সহযোগীরা জহিরুলকে ট্রেনের নীচে ফেলে দেয়। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তার লাশ রেললাইনে ফেলে রাখে এবং ট্রেনে কাটা নিশ্চিত করে সবাই বাড়ি চলে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন আরো বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর শাহরিয়ার নাফিস অমিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অমি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে। ওইদিনই অমি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ও হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাপর আসামীদের নাম প্রকাশ করে। আসামী বাবুর বাড়ি শহরের সরকারপাড়া। তিনি বলেন, অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
নওগাঁর মান্দায় বাস-সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০
নওগাঁর মান্দায় বাস-সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত...
নওগাঁর সাপাহারে ভূয়া চিকিৎসক আটক, ক্লিনিক বন্ধ
নওগাঁর সাপাহারে ভূয়া চিকিৎসক আটক, ক্লিনিক...
ভারতে গেল ৩২২৫ কেজি ইলিশ
ভারতে গেল ৩২২৫ কেজি ইলিশ
কমলগঞ্জে একাধিক মামলার পলাতক আসামি ডাকাত জসিম ঢাকা...
কমলগঞ্জে একাধিক মামলার পলাতক আসামি ডাকাত...
মৌলভীবাজারে অবৈধ চা পাতা জব্দ: ২ লক্ষ টাকার...
মৌলভীবাজারে অবৈধ চা পাতা জব্দ: ২...
নরসিংদী জেলা রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ...
নরসিংদী জেলা রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক...