আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করে বিকাশে টাকা আদায়, থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে

নরসিংদী আদালত চত্ত্বর থেকে বের বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ৭-৮ জন ব্যক্তি নরসিংদী সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতাকে তুলে নিয়ে বিকাশে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার দুপুর ১.৩০ টার দিকে বিলাসদী এলাকার ব্যাংক কলোনীর এলাকায় এঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই নেয়ার হচ্ছে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।

এ ঘটনায় আলোকবালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি সদস্য হাবি মিয়া ও একই এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মিটল মিয়ার বিরুদ্ধে আজ রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্তদের সাথে বাদীর রাজনৈতিক ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। দুপুর ১.৩০ টার দিকে নরসিংদী জজ আদালতের ৩ নং গেইট হতে ভুক্তভোগী ও একই এলাকার হাজি আব্দুল বাতেনের ছেলে শাহীন ও ধনু মিয়ার ছেলে রাহীমকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দুইটি সিএনজির মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে এবং কয়েকটি বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ৭১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিকাল ৪ টার ছেড়ে দেয়া হয়।”

ভুক্তভোগী শাহীন বলেন, “আমাদেরকে মারধর করার সময় সন্ত্রাসীরা বারবার আমার প্রতিপক্ষ হাবি মিয়া ও মিটল মিয়ার কথা বলতেছিল। তাদের দাবি ছিল, তাদেরকে হত্যা করার জন্য ১.৪০ লক্ষ টাকা সমঝোতা করেছিল। আমি চাই তদন্ত সাপেক্ষে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

নরসিংদী জজ আদালতের আইনজীবী আসাদ উল্লাহ বলেন, “আইনি সেবা নিতে শাহীন আমার চেম্বারে এসেছিল। যেখান থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে, সেখানে এবং তার আশে পাশে সিসিটিভি ছিল। আমরা আশাবাদী এ গুলো যাচাই বাচাই করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদেরকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তবে, অভিযুক্ত মিটল মিয়া বলেন, “শাহীনের সাথে আমাদের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কার প্ররোচনায় সে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমি জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ও এলাকায় সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এসব নাটক সাজিয়েছে। আমি চাই, তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন যেন প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করে।”

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর