নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দামও। গত এক মাসের ব্যবধানে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ১৮০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে পেটের অসুখসহ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বেশকিছু ওষুধের দাম। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার ঢাকার মিটফোর্ড, শাহবাগ ও পাড়া-মহল্লার দোকান ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়। যদিও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খুচরা দোকানগুলোতে অনেক ওষুধের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম যেমন বাড়তি তেমনি ওষুধের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে রোগীপ্রতি মাসিক খরচ বেড়েছে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা, যা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর ওষুধের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এলসি খোলার সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাস, ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানি সমস্যার জন্য জেনেরিক ওষুধ নিপ্রো জেএমআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির ডক্সিভা ২০০ মি. গ্রাম ১০টি ট্যাবলেটের প্রতি পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৬০ টাকা। মোদ্দাকথা, সবরকম ওষুধের দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে মহাবিপদে।
এমনিতে দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি ওষুধের দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষে দুর্ভোগের শেষ নেই। ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীরা বলছে, কোম্পানি দাম বাড়ালে তো আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে দেশের বেশকিছু কোম্পানি তাদের ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
জানা যায়, সর্দি-কাশির ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধ চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
এ প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, ওষুধের দাম ইচ্ছা করলেই কোনো কোম্পানি বাড়াতে পারে না। দাম বাড়াতে হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ওষুধের দাম বাড়লে তারা ঠিকমতো নজরদারি করছে কি? এই প্রশ্ন খুবই যুক্তি সঙ্গত। অনিয়ম, দুর্নীতি, অরাজকতা ঠেকানোর জন্যই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কাজ করে থাকে। তাদের এ দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা আশা করব, ঔষধ প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের কাজ সহজে কেউ করার সাহস পাবে না। এতে করে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
সব চেয়ে বড় কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ ন্যায্যমূল্যে যাতে পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
শ্রীমঙ্গলে হোটেল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শ্রীমঙ্গলে হোটেল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শেরপুরে দুটি ব্রীজের একটি অচল অপরটিতে ঝুঁকি নিয়েই...
শেরপুরে দুটি ব্রীজের একটি অচল অপরটিতে...
আজ শোকের দিন
আজ শোকের দিন
“ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন” বদলে “সাইবার নিরাপত্তা আইন”
“ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন” বদলে “সাইবার নিরাপত্তা...
অনেক বেশি ভালবাসি, প্রিয় মা
অনেক বেশি ভালবাসি, প্রিয় মা
প্রবাসী সরকারের শপথবাক্য পাঠ
প্রবাসী সরকারের শপথবাক্য পাঠ