রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশংকায় রেলপথে পানি

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 weeks আগে
ফাইল ছবি

গত কয়েকদিনের প্রচন্ড খরতাপের কারণে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশংকায় আখাউড়া – সিলেট রেলপথের টিলাগাও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় গ্যাংম্যানরা রেলপথে পানি দিচ্ছেন। রেলপথ ঠান্ডা করে দিনের বেলা ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতি বেগে ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে। ফলে দিনের বেলা সিলেট পথে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার জেলার উপর প্রচন্ড খরতাপ বইছে। ফলে জন জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক পাঠদানও করানো যাচ্ছে না। এদিকে এ খরতাপে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশংকা দেখা দেওয়ায় গত ২ দিন ধরে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের গ্যাংম্যানরা কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় বেশ কিছু স্থানের রেলপথে পানি দিয়ে রেলপথ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। এ খরতাপের মাঝে রেলপথ ঠান্ডা না রাখলে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশংকা রয়েছে। এর ফলে দিনের বেলা সিলেট পথে চলাচলকারী স্বাভাবিক সময়ে চলাচল করছে না। এ পথ চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেন সমূহকে মাঝ পথে বসিয়ে রাখতে হয়।

রোববার সিলেট অভিমুখী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুঝাত রহমান মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানায় ট্রেনটি বেলা আড়াইটায় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুক্ষন পর মনু রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের আগে মাঝপথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। ১৫ মিনিট পর আবারও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

বিভিন্ন স্থানীয় তাপ মাপার যন্ত্র তথ্যে জানা যায়, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা এলাকায় গত দুই দিন ধরে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা চলছে।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি মাস্টার উত্তম দেব এ অবস্থার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,’দিনের বেলা খরতাপে রেলপথ বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তাই রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ এলাকায় পানি ঢেলে রেলপথ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। এ কারণে ট্রেনসমূহ মাঝপথে থামতে হচ্ছে। পরে খুবই ধীরগতিতে ট্রেন চলছে। রাতের বেলা আবার ট্রেনসমূহ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।’