কক্সবাজারে জলদস্যু সর্দারসহ ৭ জনকে আটক

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 weeks আগে

কক্সবাজার শহরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ অস্ত্র ও গুলিসহ সাত জলদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাব। রবিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

আটক ব্যক্তিরা হলো– মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার মৃত বাহাদুর মিয়ার ছেলে মো. মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু (৩৮), চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছনুয়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন বাহার ওরফে মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার মৃত ছৈয়দুল করিমের ছেলে মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়ার বদিউল আলমের ছেলে মো. দিদার (৩০), চট্টগ্রামের হাটবাজারী উপজেলার মাদরাসা ইউনিয়নের উত্তর মাদরাসা এলাকার মৃত মো. ইছহাকের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার শহরের উত্তর কুতুবদিয়াপাড়ার ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।

র‍্যাব জানিয়েছে, আটক মো. মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু একজন চিহ্নিত জলদস্যু এবং নিজের নামে বাহিনী রয়েছে। তার নামে কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় নয়টির বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আটক অন্যদের বিরুদ্ধেও সাগরে জলদস্যুতাসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে জলদস্যুমুক্ত করতে র‍্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার ভোররাতে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে সশস্ত্র একদল লোক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে– এমন খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে সাত জনকে আটক করা হয়।

‘পরে তাদের কাছে ও ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাওয়া যায় তিনটি দেশে তৈরি বন্দুক, সাতটি গুলি, দুটি লম্বা কিরিচ, দুটি চাকু, দুটি টর্চ লাইট ও সাতটি বাটন মোবাইল ফোন।’

র‍্যাবের এ অধিনায়ক বলেন, ‘আটকদের মধ্যে মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু একজন জলদস্যু সর্দার। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।’

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।