কমলগঞ্জে হয়রানির অভিযোগে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ , ১০ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 weeks আগে
ছবি- কালের বিবর্তন।

কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধর্ষনের সাজানো ও হয়রানিমুলক অভিযোগের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে শমশেরনগর ইউপি সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শমশেরনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: সানোয়ার হোসেন বলেন, বিগত ইউ,পি নির্বাচনের পর হতে এলাকায় ছোটখাটো গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের কারনে আমার সামাজিক কার্যক্রমে ঈর্শ্বাম্বিত হয়ে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ধর্ষনের নামে সাজানো ও হয়রানিমূলক অভিযোগ তুলে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সম্মান হানি ও হয়রানি করছে।

রাধানগর গ্রামের মোঃ মোশাহিদ মিয়ার মেয়ে তাসনীয়া আক্তার সাথী (১৮) কে মোটা অংকের বিনিময়ে মোশাহিদ মিয়া ফেইক আইডি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সোসাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এতে বলা হয় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছি এবং সে বর্তমানে অন্ত:সত্বা। এসব মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য বিভিন্ন আইডি হতে পোষ্ট করে ভাইরাল করা হয়।

মিথ্যা ভিডিও বার্তা প্রচার করার কারণে সম্মান হানি করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগটি শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জের তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়াও মোশাহিদ মিয়াসহ অজ্ঞাত লোকজন আমাকে প্রাণে হত্যার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

তাদের এহেন মিথ্যা ভিডিও বার্তায় আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গত ৯ অক্টোবর কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।

এসব অপতৎপরতার কারনে আমার বাচ্চারা স্কুলে গেলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে আমার বিষয়ে অশ্লীল কথাবার্তা শুনিয়ে সন্তানদের মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন আইডি থেকে আমার নামে মামলা, হামলা ও হুমকি-ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। এতে আমার ও আমার পরিবার সদস্যদের সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে ইউপি সদস্য দাবি করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,সমুজ আলী,মো.রহুল আমিন মিয়া.আমির মিয়া,জহির মিয়া প্রমুখ। অভিযোগ বিষয়ে মোশাহিদ মিয়া ও তার কন্যা তাসনীয়া আক্তারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো:মাহফুজুল কবির বলেন,ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন ও অপর পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার জন্য একজন মেডিবেল অফিসারের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর