
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার কিন্তু ষ্ট্যাবিলিটি আনতে পারছেনা। আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, কিন্তু একদল চায় গনতন্ত্রকে বানচাল করতে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে কারন আমাদের পাশ্ববর্তী বড় যে দেশ আছে তারা কিন্তু আমাদের মঙ্গল কামনা করেনা। কাজেই আমাদের মঙ্গল আমাদেরই চিন্তা করতে হবে। আর সেই মঙ্গল আসবে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। হয়তো কিছুটা দেরী হতে পারে কিন্তু নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া আমাদের দেশের সমস্যা কখনোই দুর হবেনা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কসবা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও লিফলেট বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুশফিকুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি চায় সকলের ভোটে অর্থাৎ সার্বজনীন ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ওই সরকার কখনো ষ্ট্যাবল হবেনা। ৩০টি দলের ৩০জন হবে, এদের মধ্যে কখনো ইউনিটি হবেনা, ষ্ট্যাবলও হবেনা। সুতরাং এই আনুপাতিক নির্বাচন আমরা কখনো চাইনা। আমরা চাই, জনগনের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক, যে যাকে মনে চায় ভোট দিবে, এতে যদি জনগনের ভোটে আমরা পাশ করি তাহলে আমরা ক্ষমতায় যাবো। যদি আমরা পাশ না করি তাহলে ক্ষতি কি? যে জনগনের ভোটে পাশ করবে সেই ক্ষমতায় যাবে।
এসময় মুশফিকুর রহমান বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব আগে বিএনপিই দিয়েছিলো। এখন এই বিষয়ে অনেকেই কথা বলতেছে কিন্তু এটা আমাদেরই প্রস্তাব। দেশে পরিপূর্ণ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক এবং জনগনের কথা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হোক।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা, অত্যাচার, জেল জুলাম ও গুম সহ অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। এখন আমরা সেই ফ্যাসিবাদের অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলেও বিএনপি এখনো টিকে আছে। বিএনপি একটি সদস্যও কোথাও যায়নি। বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী শহিদ হয়েছে, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে এবং যাদের পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। আরও শ্রদ্ধা জানাই এই ফ্যাসিবাদ সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে জুলাই-আগষ্টে গণঅভ্যুত্থান করে যে সকল ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগ আমরা সবসময় মনে রাখবো। বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আর কোনো ফ্যাসিবাদ সরকার যেন না আসে। কসবার গত ১৭ বছর ছিলো দুর্নীতি, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চাঁদাবাজির ইতিহাস। মাদক এখন কসবা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে। আজকাল রাজনীতির নামে ব্যবসা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক কসবা পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইলিয়াসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার নাজমুল হুদা, জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, সদস্য খন্দকার বিল্লাল হোসেন, আবু হানিফ, কসবা পৌর বিএনপি সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী ও উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুর রউফ প্রমুখ।
এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে শিপনে’র নেতৃত্বে র্যালি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে শিপনে’র...
আর্মি সার্ভিস কোরের সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরের সদস্যদের প্রস্তুত থাকার...
আওয়ামী লীগ ছাড়া আমি নির্বাচনে যাবো না: কাদের...
আওয়ামী লীগ ছাড়া আমি নির্বাচনে যাবো...
বিয়ের পরেরদিনই মক্কায় প্রিয়াঙ্কা
বিয়ের পরেরদিনই মক্কায় প্রিয়াঙ্কা
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন...
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও...
বাসে আগুন দিয়ে আ.লীগ প্রমাণ করেছে কেন তাদের...
বাসে আগুন দিয়ে আ.লীগ প্রমাণ করেছে...