“ঝুঁকি আছে জেনেও মাঠে অদম্য সাংবাদিক ‘তাসলিম উদ্দিন'”

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ , ১৬ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
ছবি: কালের বিবর্তন

মোঃ নুরুল হুদা: চারিদিকে ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সচেতন মানুষ কেউই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। অনেকে নিজের পরিবারের সদস্যদের ছাড়া অন্য মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলেছেন। গত কিছু দিন যাবত এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় সমাজ সচেতন পরিবারগুলোর সদস্যদের জীবনযাত্রায়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এখানে বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রায় এর উল্টো দৃশ্য দেখা যায় নিত্যদিন।

তবে এখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের যুদ্ধে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভাগের লোকেরা। তাঁরা এই মহামারি থেকে এখানকার মানুষকে রক্ষা করতে সচেতনতার পাশাপাশি জনস্বার্থে নানা ইতিবাচক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জাতীয় দূর্যোগে ঘরবন্দী কর্মহীন মানুষের নানা সেবায় এখানকার জনপ্রতিনিধিরাও বসে নেই।

এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সংবাদ সংগ্রহের কাজে মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তাসলিম উদ্দিন। তাঁর কারণে ঝুঁকির মুখে পরিবারের সদস্যরাও। তাতেও পিছু হঠার সুযোগ নেই। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে ঐতিহ্য তাতে কোন হেরফের নেই। অদম্য সাংবাদিক তাসলিম উদ্দিন ছুটছেন দিনরাত।
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে টানাছুঁটিতে ও লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ। মরণব্যাধিতে কাবু গোটা পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্যের সাথে ভাসছে হরেক রকম গুজব। আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিশেহারা মানুষের শেষ ভরসা গণমাধ্যম। ঘরে বসেই মানুষ জানতে চায় সর্বশেষ পরিস্থিতি, অগ্রগতি, সুখবর-খবরের আদ্যপান্ত। গণমাধ্যমের প্রাণশক্তি সেই জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে তাই নিরন্তর ছুটে চলা সাংবাদিক তাসলিম উদ্দিনের।

সরাইলের যেকোন ঘটনায় এই গণমাধ্যমকর্মী যেভাবে মাঠে ছিলেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহামারী থেকে নিজেকে সুরক্ষায় নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসলেও খবরের সাথেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। যখন যেখানে খবর, সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ অগ্রগতি পাঠক দর্শকদের জানাতে মরিয়া এই সাংবাদিক।

ক’দিন আগে ঢাকায় এক সাংবাদিকের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবরে সরাইলে উৎকন্ঠা বেড়েছে। নিজেদের ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে নিজ উদ্যোগেই নেওয়া হচ্ছে সুরক্ষা ব্যবস্থা। আর সাংবাদিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগেও কর্মরত সাংবাদিক বিশেষ করে রিপোর্টার ও ফটো সাংবাদিকদের সুরক্ষা সরঞ্জাম জোগাড় করে দেওয়া হচ্ছে। এখানকার সংবাদপত্রের কার্যালয় ও সাংবাদিক অফিসগুলোতেও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ পিপিই পরে সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত আছেন।

রাষ্ট্রের চতূর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে।করোনা দুর্যোগেও সংবাদমর্কীরা সে ঐতিহ্য ধরে দুর্বার গতিতে কাজ করছেন। নতুনের সাথে চলা, আর নতুন নতুন তথ্য পাঠক দর্শকদের পরিবেশন করাই সাংবাদিকতার বৈচিত্র্য। নতুন এই মহামারীর নতুন নতুন সব তথ্য আপডেট জানাতেও ঘাম ঝড়াচ্ছেন এখানকার সাংবাদিক তাসলিম উদ্দিনসহ অদম্য বেশকয়েকজন সাংবাদিক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরা (যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জনস্বার্থে ইতিবাচক নানা তথ্য পরিবেশনে ব্যস্ত)। এ পরিস্থিতিতে মিডিয়ার জগতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। সংবাদপত্রের অনলাইন ভারসন এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এখন দারুন জনপ্রিয়।

এ পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিক তাসলিম উদ্দিন বলেন, দুঃসময়ে সাংবাদিকরা মানুষের পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ঝুঁকি আছে জেনেই আমরা এই পেশায়। পাঠকের কাছে সঠিক খবর পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। নিজেদের যতটুকু সুরক্ষা করা যায় তা নিশ্চিত করে আমরা কাজ করছি।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর