করোনা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনে নির্ভীক যোদ্ধা : ইউএনও এ এস এম মোসা

প্রকাশিত: ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ , ২৭ এপ্রিল ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল প্রতিনিধিঃ সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ এস এম মোসা।উপজেলাবাসীর জন্য তিনি আন্তরিকভাবে যে কাজ করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন এলাকার সচেতনমহল। আন্তরিকতা থাকলে একজন ইউএনও একটি উপজেলার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন, ইউএনও এ এস এম মোসা যেন তার’ই উদাহরণ।

করোনা মোকাবিলায় দিনরাত ছুটছেন ইউএনও মোসা।
ইতিমধ্যে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। সরকারের এ সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী টহলও জোরদার রয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের নানা পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সরাইল থানা পুলিশ। তবে এ নির্দেশনা পালনে প্রথম থেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে একটু বেশী তৎপর ও আন্তরিকতা দেখা গেছে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে সরাইলবাসি।তিনি দিনরাত সমানতালে ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।

জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিন্ম আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর রাখা ইত্যাদি নিশ্চিত করছেন জোড়ালোভাবে। তিনি হাটবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাজার হস্তান্তর করা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মানুষের মাঝে দিন ও রাতের অন্ধকারে ত্রান বিতরণ করছেন । একইসঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জীবাণুনাসক স্প্রে করছে উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।

এই প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাঠে রয়েছেন স্থানীয় কর্মব্যস্ত কয়েকজন সাংবাদিক।
ইতিমধ্যে করোনা প্রতিরোধ করতে এ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন কয়েকবার। এদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে এ উপজেলার মানুষ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল। যদিও এতে সব থেকে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন দিনমজুর গরীব, অসহায় মানুষজন। কিন্তু এসকল  উপার্জনহীন মানুষের জন্য নিজ দায়িত্বে সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম মোসা বলেন, সকলের সহযোগিতা ছাড়া করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব না তাই সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি পাশাপাশি সকলকে নিজ গৃহে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন যেহেতু সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করােনা ভাইরাস দূরীকরণে কোন প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি হয়নি সেহেতু এটি প্রতিরোধে আমাদেরকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা যদি সবাই যার যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে সতর্ক হয় তাহলে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব অনেকাংশে কমে যাবে। তিনি মাহে রমজান সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদেরকে নিজ ঘরে তারাবীহ নামাজ আদায় করাসহ মসজিদে শুধু ১২ জন মুসল্লি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করার অনুরোধ করাসহ সরকারের আইন মেনে চল জনসমাগম পরিহার করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য লিখুন