
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিয়ম লঙ্গন করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিকের শাখা চালু করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দিয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বগইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুল হক জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কেসমেন্ট এরিয়ার ভেতরে বগইর মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিক পাঠদান চালু করায় এবার আমার স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মাত্র ৮জন। যেখানে গতবছর ছিল ৬০ জন। গ্রামে জনসংখ্যা খুবই কম। তারপরও দুটো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটো নূরানী মাদ্রাসা আছে। এরপর প্রাথমিকের আরেকটি শাখা চালু করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বগইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হাফিজ ভূঁইয়া জানান, ওই প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের অনুমতি যাতে না দেয়া হয় সেজন্যে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর তারা আবেদন জানিয়েছেন।
জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে গড়ে উঠতে না পারে এব্যাপারে গত ২৪ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আশুগঞ্জের ওই স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিকের শাখা চালু হয়েছে কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে বগইর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর আলমগীর খন্দকার দাবী করেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই তারা প্রাথমিক পাঠদান চালু করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সুমন মিয়া জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের প্রতিষ্ঠানের বই পাওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। যেহেতু বই পাওয়ার অনুমোদন প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, সেহেতু প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতিও পেয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আলিম রানা বলেছেন, বগইর গ্রামে দুটো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে, কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা যায় না। সুতরাং বগইর মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিক পাঠদান অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেসমেন্ট এরিয়ার ভিতরে নূতন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাখা বা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার কোন সূযোগ নেই। কারন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পার্শ্বে যাতে নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য উপজেলা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ রয়েছে অধিদপ্তরের।
তিনি আরো জানান, বগইর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাথমিকের নতুন বই পাওয়ার তালিকায় নেই। বগইর গ্রামে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কিন্ডারগার্টেন, ১টি হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও ১টি মহিলা নূরানী মাদ্রাসা আছে। এরমধ্যে বগইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৮৩ জন, বগইর উত্তর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২০ জন ও কিন্ডারগার্টেনে ১৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
সরাইলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
সরাইলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা...
কমলগঞ্জে চা বাগানের লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কমলগঞ্জে চা বাগানের লেক থেকে যুবকের...
কমলগঞ্জে চা বাগান থেকে গর্জন গাছ চুরি
কমলগঞ্জে চা বাগান থেকে গর্জন গাছ...
কমলগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সময় গ্রেনেড উদ্ধার
কমলগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সময়...
নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই
নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর...
গোপনে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী রূপালি
গোপনে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী রূপালি