সেনাবাহিনীতে যোগ না দিতে ঘুস দিচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা!

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ , ১৩ আগস্ট ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
ফাইল ছবি

রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইউক্রেন বিপুল পরিমাণ সেনা হারিয়েছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীতে লোকবল বাড়াতে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকেই দেশে মার্শাল ল জারির সময় এই নির্দেশ দেন জেলেনস্কি। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয়নি।

কারণ, অনেকে টাকার বিনিময়ে শারীরিকভাবে অযোগ্য হওয়ার সনদ কিনে সেগুলো নিয়োগ বোর্ডে জমা দিয়ে পার পেয়ে গেছেন। অবশ্য এ কাজে গড়ে ছয় হাজার ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।

যুদ্ধে যোদানের ভয়ে অনেক ইউক্রেনীয় পুরুষ অবৈধভাবে দেশত্যাগের চেষ্টা করেছেন। অনেকে সফল হয়েছেন আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় ১৩ হাজার জন সীমান্তরক্ষীদের কাছে আটক হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চেকপোস্টে জাল নথির কারণে আটক হয়েছেন ছয় হাজার ১০০ জন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসেই নিয়োগ দুর্নীতির কারণে ওদেসার আঞ্চলিক নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ইভগেনি বরিসভকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, বরিসভ এসব দুর্নীতির মাধ্যমে অন্তত ৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি জনপ্রতি ২ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থ নিয়ে তাদের নিয়োগ পাওয়ার হাত থেকে রেহাই দিতেন।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে বা যারা রণক্ষেত্রে লড়তে চান না, ঘুষ নিয়ে তাদের রণক্ষেত্রে পাঠানোর থেকে বিরত থাকার অভিযোগ রয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক নিয়োগকেন্দ্রগুলোর প্রধানদের বিরুদ্ধে।

এমন এক সময়ে এই অভিযোগ এবং চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটল, যখন ইউক্রেনের জন্য প্রচুর নতুন সেনার প্রয়োজন। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার বিষয়টিকে জেলেনস্কি বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই সিস্টেম চালানোর জন্য এমন লোক দরকার, যারা আসলে জানেন যুদ্ধ কী এবং যুদ্ধের সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধার ও ঘুসগ্রহণ কেন বিশ্বাসঘাতকতা।’

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর