
নূর মোহাম্মদ সুমন (২৭)। সমাজের আর দশজন মানুষের মত তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও বৃত্তশালী পরিবারের সন্তান নন। পারিবারিক সমস্যা জনিত কারণে তার পিতা মাতার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয় তার সেই ছোট বয়সে। পিতা মাতার অনত্র বিয়ে হওয়ায় তিনি ছোট বয়স থেকেই সম্পুর্ণ একা হয়ে পড়েন। বয়সের বেশ কিছুটা সময় তিনি মামার কাছে বড় হন।
পিতা মাতার আদর ভালবাসা ও সঙ্গহীন সুমন জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়ায়ে প্রতিটি মূহুর্তে তাই সংগ্রাম করে চলেছেন। ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে ও গাড়ির হেলপার হিসেবে খেয়ে না খেয়ে নামমাত্র অর্থে কাজ করেছেন। এ অবস্থায় তিনি বিবাহ করে সংসার জীবনে পর্দাপন করেন। তার চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বর্তমান পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক। অভাবের সংসারে কোন রকম ভাবে তার সংসার জীবন কেটে যাচ্ছিল। এরই মাঝে ৬-৭ মাস আগে তিনি গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডাক্তার দেখালে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তার দু’টি কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে যাবার রিপোর্টে ধরা পড়ে। এ সময়ের মধ্যে তিনি বিভিন্ন স্থানে সহায় সম্বল বিক্রি ও ধার দেনা করে ৫-৬ লাখ টাকার মত চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করেন।
কিন্তু তাতে তিনি সুস্থতার বদলে দিন দিন আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে সপ্তাহে দু’বার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং রক্ত দিতে হচ্ছে। যার খরচ প্রায় দশ হাজার টাকার মত। যা তার পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সহ তার পরিবার শুধু দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন।
একদিকে সংসার আর অন্য দিকে ছোট সন্তান। ভবিষ্যৎ কি হবে তাই ভেবে এই অসহায় দরিদ্র পরিবারটি চিন্তায় বিভোর। ভাসছেন হতাশার সাগরে। কি করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছেন না। তার সুস্থতায় এখন সর্বশেষ সৃষ্টিকর্তার রহমত বিশ্বাস আর সমাজের মানবিক মানুষের মানবিক আর্থিক সহায়তার উপর তাদের একমাত্র ভরসা।
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না বেঁচে থাকতে সুমন সহ তার পরিবারের ঠিক যেন এমনি আকুতি। বর্তমান তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে খুলনা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন আর বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করছেন। ডাক্তার পরীক্ষা নিরিক্ষার পর নতুন করে তার আবার কিডনির নাড়ি সমস্যার বিষয়টি ধরা পড়ে। ডাক্তার বলছেন দ্রুত নাড়ি অপারেশন করার জন্য।
মানবিক সহায়তার বিষয়টি বলছি যশোরের শার্শার ডিহি ইউনিয়নের ডিহি গ্রামের বজলুর রহমান এর বাড়িতে অবস্থান করা তার ভাগ্নে ও রশিদ গাজী এবং নূরজাহান বেগন এর সন্তান অসহায় দরিদ্র ভ্যান চালক নূর মোহাম্মদ সুমন (২৭) এর কথা।
তার এই মূহুর্তে জরুরি কিডনি নাড়ি অপারেশন আনুষঙ্গিক বাবদ খরচ প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার মত প্রয়োজন। যা তার মত হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা ব্যয় করা সম্ভব নয়। জরুরি অপারেশন করা না গেলে যেকোন সময় তার জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে। তাইতো চিকিৎসা খরচের জন্য তিনি সহ তার পরিবার সরকার ও সমাজের বৃত্তবান মানবিক মানুষের মানবিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবেঃ নূর মোহাম্মদ সুমন
একাউন্ট নম্বর ০২০০০১৮৬৬৮৬৩৩ অগ্রণী ব্যাংক লি. রাজারহাট ব্রাঞ্চ, যশোর জোন। এছাড়াও ০১৯৮৯-৯৭২২৯৫ (যোগাযোগ ও বিকাশ)।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬...
‘রঙ্গমালা’ হয়ে ফিরছেন তুষি
‘রঙ্গমালা’ হয়ে ফিরছেন তুষি
প্রেম বিয়ে সংসার নিয়ে মুখ খুললেন জয়া আহসান!
প্রেম বিয়ে সংসার নিয়ে মুখ খুললেন...
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএমটিএ সম্মেলন: টেকনোলজিস্টদের উন্নয়নে নতুন অঙ্গীকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএমটিএ সম্মেলন: টেকনোলজিস্টদের উন্নয়নে নতুন...
ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষিশ্রমিকের, আহত...
ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল...