রোজা রেখে গরম পানির ভাপ নেওয়া যাবে?

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ , ২৫ মার্চ ২০২৪, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 months আগে

অতিরিক্ত ঠাণ্ডার ফলে অনেক সময় সর্দি লেগে যায় বা কফ জমে যায়। গরম পানির ভাপ নিলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে শ্লেষ্মা পাতলা হতে শুরু করে। ফলে বুকে কম চাপ অনুভূত হয়। এতে বুকের মধ্যে হওয়া ঘড়ঘড় আওয়াজও কমে।

এটা রোগ নিরাময়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। চাইলে যেকেউ সর্দি-কাশি, কফ থেকে মু্ক্ত হতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে রোজা রেখে গরম পানির ভাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কারণ, গরম পানির ভাপ নিলে পানির আদ্রতা গলা দিয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়। কাজেই এর মাধ্যমে রোজা ভেঙ্গে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে আব্বাস রা. বলেন,

وَإِنَّمَا ‌الْفِطْرُ ‌مِمَّا ‌دَخَلَ، ‌وَلَيْسَ ‌مِمَّا ‌خَرَجَ

‘ভিতরে কোনো কিছু প্রবেশের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়। বের হওয়ার দ্বারা নয়।’ (সুনানে কুবরা, হাদিস: ৫৬৭)

বিষয়টির ব্যাখা দিতে গিয়ে আলেমরা বলেন, সাধারণ গরম পানি হোক কিংবা ওষুধ বা মশলা মিশ্রিত গরম পানি হোক তার ভাপ নেয়া, চাই তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুক কিংবা মেশিনের মাধ্যমে গ্রহণ করুক–মোট কথা যেভাবেই গ্রহণ করুক না কেন; রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত গরম পানির ভাপ নিলেই রোজা ভেঙ্গে যাবে।

ইবনু আবেদীন রহ. বলেন,

أَنَّهُ لَوْ أَدْخَلَ حَلْقَهُ الدُّخَانَ أَيْ بِأَيِّ صُورَةٍ كَانَ الإِدْخَالُ , حَتَّى لَوْ تَبَخَّرَ بِبَخُورٍ، وَآوَاهُ إلَى نَفَسِهِ، وَاشْتَمَّهُ ذَاكِرًا لِصَوْمِهِ: أَفْطَرَ ؛ لإِمْكَانِ التَّحَرُّزِ عَنْهُ . وَهَذَا مِمَّا يَغْفُلُ عَنْهُ كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ

যদি রোজাদার তার গলার ভেতরে ধোঁয়া প্রবেশ করায়; প্রবেশ করানোটা যেভাবেই হোক না কেন; এমনকি রোজার কথা মনে থাকা অবস্থায় যদি সে ধুপ জ্বালিয়ে ঘ্রাণ নেয় অথবা নিজেকে ধোঁয়ার কাছে নিয়ে যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কেননা, এ থেকে বিরত থাকা তার জন্য সম্ভব ছিল। বস্তুত এটি এমন বিষয় যে, অনেক মানুষ এ সম্পর্কে উদাসীন। (হাশিয়া ইবন আবেদীন ২/৯৭)

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর