মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় খুন করা হয়

রতনকে হত্যা মামলায় আটককৃত ২ জনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ , ৩০ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ- ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় মুলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘরে রতন মিয়া (৩২ কে পরিকল্পিত ভাবেই হত্যা করা হয়। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় গত মঙ্গলবার (২৮-জানুয়ারি) রাতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাব হত্যা করে বাড়ির পাশ টমটা বাগান ফল রাখা হয় রতনের মৃতদহ। এ ঘটনায় নিহত রতনর মা সাহনা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করন।

ঐ খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে হাসপাতাল থেকে আটক হওয়া শ্যামনগর গ্রামের কামাল হাসান ও ডাবিরঘর থেকে আটক সুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ।

বিজ্ঞ আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধরায় জবান বন্দি দিয়েছেন কামাল হোসেন ও সুজন মিয়া।

আটককৃত কামাল হোসেন উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং সুজন মিয়া ডাবিরঘর গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন; গ্রেপ্তার হওয়া কামাল হোসেন ও সুজন মিয়াকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালতের ২ এর বিচারক জাহিদ হাসাইন এর আদালত নওয়া হল। বিজ্ঞ আদালতর নিকট কামাল হাসন ও সুজন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার কর ১৬৪ ধারায় জবানবদি দিয়ছন। কামাল হাসন ও সুজন মিয়া আদালতক জানিয়ছন, কামাল হাসন নিজ এবং ডাবিরঘর গ্রামর সাহাগ মিয়া ও সুজন মিয়া যথ ভাব মাদক ব্যবসা করতন। ওই মাদক মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিতন সদি প্রবাসী রতন মিয়া। কামাল মিয়া, সুজন ও সাহাগ তারা তিন বন্ধু মিল রতন মিয়াক হত্যার পরিকল্পনা করন।

ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী সুজন মিয়া গত মঙ্গলবার রাত রতন মিয়াক তার বাড়ি থক ডক আনন। কামাল মিয়া আগ থকই একটি ছুরি নিয় আসন। রতনর বাড়ির পাশই সুজন ও সাহাগ রতন মিয়াক ধর রাখন। এ সময় কামাল রতনর বুক উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করন। এ সময় রতনর হাত নড়াচড়ায় কামালর নাক কট যায়।

তারা তাক খুন কর লাশ ফল বাড়ি চল যায়। সারারাত রতনক তার পরিবারর খুজ না পলও সকাল বাড়ির অদুর টমটা বাগান দখত পায় রতনর মতদহ। ঘটনার দিন সকাল আহত কামাল মিয়া চিকিৎসার জন্য ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে পুলিশ সন্দেহাতিত ভাবে গত বুধবার দুপুরে তাকে আটক করেন পুলিশ এবং রাতে ডাবিরঘর এলাকা থেকে সুজন মিয়াকে আটক করা হয। তাদেরকে সাথে নিয়ে তাদের ভাষ্যমতে গত বুধবার রাতে কামালের বাড়ি থেকে রতন হত্যায় ব্যবহার করা রক্তমাখা ছুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কসবা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল করিম বলেন, নিহত রতন মিয়ার মা বাদী বুধবার রাতে থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে কামাল হোসেন ও সুজন মিয়াকে আটক করা হয়েছিল। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।