• প্রবাসের কথা শীর্ষ সংবাদ
  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে জর্ডান সফরের দাবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে জর্ডান সফরের দাবি

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ , ২ মার্চ ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

কোহিনূর আক্তার, আম্মান,জর্ডান থেকেঃ

১. দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করে। জর্ডানের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করি।
২. আমাদের জর্ডান প্রবাসী সকল বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ঢাকা-আম্মান রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হোক। এতে বাংলাদেশ ও জর্ডানের মধ্যে আরও ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এই ফ্লাইট রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্স চালু করলে উভয় দেশ লাভবান হবে। এই ফ্লাইট চালু হলে লেবানন,ইরাক,তুরস্ক,সাইপ্রাস, গ্রীস,ইতালি,মিশর,সৌদি আরব,ফ্রান্স সহ অনেক দেশে কর্মরত প্রবাসীরা বেশি উপকৃত হবে।
৩. জর্ডানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। সর্বনিম্ন বেতন ২০০ ডলার হিসেবে জর্ডান থেকে প্রতিমাসে আনুমানিক ৩ কোটি মার্কিন ডলার বা তার বেশি রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে যে কোন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের শাখা চালু করলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক উপকৃত হতো এবং এর সাথে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো অনেকাংশে বন্ধ হতো। উল্লেখ্য যে এখানে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কাগজপত্রহীন আছে। বৈধ কাগজবিহীন শ্রমিকেরা তথাকথিত বিকাশ বা হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে।
৪. জর্ডান সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্ববধানে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। এখানে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। অনেকের স্কুল পড়ুয়া শিশু আছে।
৫. জর্ডানের বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকেই প্রায় ৫০ শতাংশ এর অধিক। এখানে বাংলাদেশিরা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করছে দেশটিতে। তাছাড়া কৃষি, কনস্ট্রাকশন, বিভিন্ন হোটেলে কর্মরত আছে। উল্লেখ্য যে জর্ডান হতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক রপ্তানির অন্যতম শ্রম বাজার।
৬. জর্ডানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নারী গৃহকর্মী কাজ করে তাই মহিলাদের কথা চিন্তা করে দূতাবাসের তত্তাবধানে একটি সেফ হোম চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই। পাশাপাশি গৃহকর্মীদের বেতন ২০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩০০ ডলার বা বৃদ্ধি করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্তণালয় ও দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানাই।
৭.জর্ডানের শ্রম বাজারে পুরুষ শ্রমিক ভিসা চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৮. বিশ্বের প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে মহান জাতীয় সংসদে প্রবাসী সংসদ সদস্য কোটা চালু করার প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
৯. আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য একটি স্থায়ী ভবন নির্মাণ এর জোরালো দাবি জানাচ্ছি। যেসকল দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস এর কার্যক্রম আছে সকল দূতাবাসেই জাতির পিতার প্রতিকৃতি স্থাপন করা হোক।
১০. যতদ্রুত সম্ভব জর্ডানে ভোটার নিবন্ধন কায্রকর্ম চালু করা হোক।
১১.উভয় দেশ মিলে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা বানিজ্য বাড়ানোর অনুরোধ জানাই।
উল্লেখিত এই বিষয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আবদুল মোমেন, ও প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রবাসীদের পক্ষে- এ.এস শ্যামল সরকার, সাধারণ সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জর্ডান কেন্দ্রীয় কমিটি।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর