মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মনুনদী থেকে উত্তোলিত হওয়া বালু শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন হচ্ছে। অতিরিক্ত বহনকারী বালুভর্তি ১০ চাকার ট্রাকে বহন করার কারণে ধ্বসে পড়ছে পর্যটনবাহী কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কপথ। ঝুঁকির মুখে রয়েছে চলাচলকৃত যানবহন সমুহ।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের আপত্তি উপেক্ষা করে ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী গাড়িতে বালু পরিবহন হচ্ছে। শনিবার দিবাগত রাতে ও রোববার ভোরে প্রশাসনের সহযোগিতায় কমলগঞ্জে স্থানীয় জনসাধারণ অর্ধশতাধিক গাড়ি আটকিয়ে রাখেন। এদিকে জরিমানা করে বালুর গাড়িগুলো ছাড়ার অনুমতি দিয়েছেন।
জানা যায়, অতিরিক্ত বালু বহনকারী গাড়ির কারনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শমশেরনগর-চাতলাপুর ও কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া উন্মুক্ত অনেক গাড়ির বালুর কারনে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকির মুখে রয়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বালু বহনের কারনে সড়কে যানজটসহ স্থানীয়ভাবে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক বিভাগ, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ গত ১৯ মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত সচিত্র পত্রে বলেন, ‘কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ২২ মে.টন লোড বহন করার অনুমোদন রয়েছে।
তবে বালু বহনকারী ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারি গাড়িতে বালু মহালদারদের ৪০ থেকে ৫০ টন বালু বহনকারী ভারী ট্রাক নিয়মিত চলাচলের কারনে ফাউন্ডেশনসহ সড়ক পেভমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ভারী গাড়িতে বালু পরিবহন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন,‘অতিরিক্ত বোঝাই বালু বহনকারী ট্রাকগুলো রাতে আটক করেছে স্থানীয়রা।বিকেল ৪টার দিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বালু বোঝাই ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের কালীবাড়ি নামক স্থানে কালভার্ট নির্মান কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর যেন বালু বোঝাই ট্রাক না যায় সেই নিদের্শ দিয়েছে বালু ইজারাদার প্রতিষ্টান কুকিল এন্টারপ্রাইজ এর জুয়েল আহমেদকে।’
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জহির রায়হান
প্রধান কার্যালয়ঃ ১০৭ মতিঝিল বা/এ, ৯ম তলা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
মোবাইলঃ 01713-733969, 01924-665561, ইমেইলঃ news@kalerbiborton.com
© কালের বিবর্তন ২০১৯ - ২০২৪ সর্বসত্ব সংরক্ষিত