আজ রোববার ভোর থেকেই টানা বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কখনো মুষলধারে কখনোবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে দাবদাহ থেকে স্বস্তির বার্তা দিলেও পৌরবাসী মুখোমুখি হয়েছে আরেক বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে ভোর থেকেই কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে পৌর শহরের বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে কাজীপাড়া, টেংকের পাড়, টিএরোড, সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। রোববার সকাল থেকেই পানিবন্দি পৌর শহর। ময়লা ও ড্রেনের পানি উঠে এসেছে রাস্তাগুলোতে। নিচু এলাকার দোকানপাটের মেঝে পানি ঢুকায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, জলাবদ্ধতা ব্যাহত করছে পাঠদানও। বিদ্যালয়ের আশপাশের সড়কে পানি জমে থাকায় বিদ্যালয়ে আসেনি বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, জমে থাকা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পানির কারণে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের রয়েছে পানিবাহিত রোগের শঙ্কা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অবেহলা ও ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন পৌরবাসী।
[caption id="attachment_12545" align="aligncenter" width="300"] ছবি- কালের বিবর্তন।[/caption]
তবে পৌর কর্তৃপক্ষের দাবী শহরবাসী যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে নালা ও জলাশয় ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সকাল থেকে মুশলধারে বৃষ্টি পড়ছে। এতে বেশিরভাগ এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য কষ্ট করে যাতায়াত করছে। তাই পৌরসভার উচিত অতি সত্তর পৌরসভার ড্রেনেজগুলোকে সংস্কার করে জলাবদ্ধতার নিরসন করা।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ১০০-১১০ টন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে পলিথিন ও প্লাস্টিকজাত বর্জ্য থাকে ৫-১০ টন। শহরের টেংকের পাড়ের ভাগাড়সহ বিভিন্ন এলাকার মোড় থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় নিয়ে ফেলছেন। এ ছাড়া আরও কয়েক টন গৃহস্থালির বর্জ্য বিচ্ছিন্নভাবে নালা-খালে ফেলা হচ্ছে। এতে শহরের প্রবহমান শহর খাল (টাউন খাল) ভাগাড়ে পরিণত হয় এবং অধিকাংশ নালা ভরাট হয়ে যায়। এ কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানাল তৈরি করেছিলো। সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজে সম্পৃক্তরা সেই ক্যানালটি আটকে দিয়েছে। তবে সেখানে লোক পাঠিয়েছি ক্যানালটি আবার খোলার ব্যবস্থা করতে। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে তারা কাজ করছে। দ্রুতই পানি নেমে আসবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জহির রায়হান
প্রধান কার্যালয়ঃ ১০৭ মতিঝিল বা/এ, ৯ম তলা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
মোবাইলঃ 01713-733969, 01924-665561, ইমেইলঃ news@kalerbiborton.com
© কালের বিবর্তন ২০১৯ - ২০২৪ সর্বসত্ব সংরক্ষিত