ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা খাচ্ছে ইউপি সদস্যর ভাতিজা

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ , ১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২০নং কাইতলা ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যদের ভাতিজার বিরুদ্ধে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীর ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভীড় করেন ভুক্তভোগীরা। ভাতার টাকা ফেরত পেতে এবং বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন। ভুক্তভোগীরা নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে বলা হয়, কাইতলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাছির মেম্বারের ভাতিজা মোঃ সাদ্দাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। কৌশল করে তাদের সিম ও পিন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের টাকা না দিয়ে সে নিজেই আত্মসাৎ করছে।
প্রতিবন্ধী সাইদুলের মা বলেন, আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। তাই আমি সাদ্দামকে বলেছি একটা প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেয়ার জন্য। আমার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে কার্ড দিলে প্রথমে দুই বার টাকা পেলেও পরে নগদ করায় টাকা সাদ্দামের নাম্বারে চলে যায়। পরে সে সেখান থেকে পাঁচশ টাকা করে কেটে রেখে বাকি টাকা আমাকে দেয়।
বৃদ্ধা ছুফিয়া খাতুন (৮০) বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়ের আশ্রয়ে থাকি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়। প্রথমে টাকা পেলেও পরবর্তীতে সাদ্দাম আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড ও নাম্বার নিয়ে যায়। এরপর আর টাকা পাই না।
প্রতিবন্ধী রুমা আক্তারের বাবা মোহাম্মদ রিপন মিয়া বলেন, প্রথমে প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য সরকারের দেয়া ২২০০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাই। পরবর্তীতে টাকা না আসায় সাদ্দামের সাথে যোগাযোগ করি। ২০০ টাকা নিয়ে তিনি আমার ভাতা কার্ড ঠিক করাতে নবীনগরে যান। সে জানায় ভাতা কার্ডে কোন সমস্যা নেই। পরবর্তীতে সে আমাকে দিয়ে নতুন সিম কিনায় এবং এমআইএস করা হয়েছে বলে জানান। এরপরেও ভাতার টাকা আসে না।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত কাজ শেষে দ্রæত প্রতিবেদন দেয়া হবে। ২০নং কাউতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, ঘটনাটি সত্য। যেহেতু এটি সমাজসেবার অধীনে। তাদেরকে আমি সমাজ সেবার কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম মিয়া বলেন, আমি নবীনলীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্তের জন্য সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে নিদের্শ দিয়েছি।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর