ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবকটি থানায় ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা, জনমনে স্বস্তি

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ , ১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 months আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সকল পুলিশ সদস্যরা একই ফ্রেমে। আজ সোমবার সকালে আখাউড়া থানা চত্ত্বরে তোলা। ছবি- কালের বিবর্তন

জহির রায়হান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
দীর্ঘ সাত দিনের কর্মবিরতির পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানায় যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা সদর মডেল থানাসহ সরাইল, নাসিরনগর, কসবা, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সকল পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন।

গেল সাতদিন পুলিশের অনুপস্থিতিতে জেলার আইনশৃঙ্খলার ব্যপক অবনতি ঘটে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও শহরে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তবে শিক্ষার্থীরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে শহরের ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে জেলার সবগুলো থানায় পুলিশের যোগদানের ফলে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে।

পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার সবগুলো থানাতে পুলিশ সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযোগ নথিভুক্ত ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পতন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ থানায় ব্যপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে একদল দুষ্কৃতিকারী। তাদের তাণ্ডবে জেলার অন্যান্য থানার তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সদর মডেল থানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। থানা চত্বরে থাকা পুলিশের হেল্প ডেক্স, পুলিশের পিকআপভ্যান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং থানার ভিতরে থাকা সিএনজি, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ থানার বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।