বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা বাণিজ্য

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ , ১৯ জুন ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মো. আবু রায়হান চৌধুরী: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই, নেই আবেদনও। এর পরও একশ্রেণীর অসাধু ঠিকাদার ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা বাণিজ্য। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের দাউদকান্দি জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দালাল চক্র। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে উপজেলার রাধানগর গ্রামে ৫০টিরও অধিক পরিবার গ্যাসের অবৈধ সংযোগ পেয়েছে। শুধু তাই নয় অর্থের বিনিময়ে গ্রামটিতে রাতের আধারেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।

কুমিল্লা জেলা অফিসের এমডি এসব সংযোগকে অবৈধ বললেও দাউদকান্দি জোনাল অফিসের সহযোগিতায় অবাধে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা বাণিজ্য।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাধানগর গ্রামের মৃত. হাজী জনাব আলীর পুত্র ইব্রাহিম খলিল ও তার পুত্র মো. ফেরদৌস মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ পেয়েছে। তাদের কে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন পাইপলাইন স্থাপন করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে অসাধু ঠিকাদার ও দালাল চক্র। এতে এই গ্রামের সচেতন ব্যক্তিরা ও বাচ্চু মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা বাঁধা দিতে গেলে “বাগবিতন্ডায়” জড়িয়ে পড়েন এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইব্রাহিম খলিল ও তার ছোট ভাই ইয়াসিন এবং ইব্রাহিম খলিল পুত্র মো. ফেরদৌস এর নেতৃত্বে জামাল মিয়া কে মারার জন্য তেড়ে আসে তাদের পক্ষের রোকজন। শুধু তাই নয় রাতের আধারেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান এলাকাবাসী।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, ইতিমধ্যে গ্রামটিতে ৫০টিরও অধিক পরিবার গ্যাসের অবৈধ সংযোগ পেয়েছে। বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন পাইপলাইন স্থাপন করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে অসাধু ঠিকাদার ও দালাল চক্র। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়া উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন- বাচ্চু মোল্লার পুত্র আমান উল্লাহ্, মোজাফ্ফর মোল্লার পুত্র আহমেদ মোল্লা, মৃত. সোবহান মিয়ার পুত্র হুমায়ুন মিয়া, আবদু মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়া, রেজেক মিয়ার পুত্র হাফিজ উল্লাহ, বাতেন মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া, মাওলানা হাসেম মিয়ার পুত্র আব্দুল মাজেদ, হোসেন মিয়ার পুত্র বরকত উল্লাহ্, বাতেন মিয়ার পুত্র হেলাল মিয়া, আলী মিয়ার পুত্র লীল মিয়া, মৃত. রশিদ মিয়ার পুত্র খেলু মিয়া,কামাল মিয়া, মৃত. মঙ্গল মিয়ার পুত্র ফজল মিয়া,আবদুর রহিম মীর,আবদুর রশিদ মিয়ার পুত্র ফজল ফকির, আবদুল মান্নানের পুত্র হান্নান মিয়া,শামসুল হকের পুত্র আনোয়ার মেল্লা, মৃত. হোসেন মিয়ার পুত্র হানিফ মীর, মালু মিয়ার পুত্র মীর জাহাঙ্গীর,শাহজাহান, মৃত. সিরাজ মিয়ার পুত্র নজরুল মোল্লা, কাশেম মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম, মৃত. হামিদ সওদাগরের পুত্র নজরুল ইসলাম ফকির, সালাউদ্দিন,মুকুল,বানু বেগম,মৃত. শামসুল হক,মৃত. আবিদ মোল্লা, আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে মোসলেম মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লার ছেলে ইউসুফ মোল্লার বাড়িসহ অবৈধভাবে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দালাল চক্র।

এ বিষয়টি এলাকায় অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গ্যাস চোরাই সিন্ডিকেটগুলো।