দেশে আবারো বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ

পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ৪০ টাকা

প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ , ৩১ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ফাইল ছবি

বিবর্তন রিপোর্টঃ- কয়েক দিন ধরে কমতে থাকলেও আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে ভোজ্যতেল, ডাল, আদা, শুকনা মরিচ, এলাচ, দারুচিনির দামও।

বিক্রেতারা বলছেন, সিটি নির্বাচনের কারণে ঢাকায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এসব বিক্রেতাদের অজুহাত মাত্র। কেন না, ভোটের এক দিন আগে পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে, সেটা এখনও শুরু হয়নি। তাই বিক্রেতারা একজোট হয়ে একটি অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়। এক দিন আগেও বিক্রি হয় ৯০-১১০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০-১২৫ টাকায়। এক দিন আগে বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৯০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আরিফ বলেন, সিটি নির্বাচনের কারণে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম বলে বেশি দরে বক্রি করতে হচ্ছে। খুচরায়ও এর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এসবই তাদের অজুহাত। তাদের কাছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। কিন্তু তারা কারসাজি করে বাড়তি দরে বিক্রি করছে। একই বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আশরাফ বলেন, সিটি নির্বাচনের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি আসতে চাচ্ছে না- যার কারণে সরবরাহ কম। দামও বেশি।

অন্যদিকে বাজারে মুদি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক দিন আগে বুধবার পাঁচ লিটারের সয়াবিন কোম্পানি ভেদে বিক্রি হয়েছে ৪৬৫ থেকে ৫১৫ টাকা- যা বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৪৭৫ থেকে ৫২০ টাকা। মশুরের ডাল মান ভেদে বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা। এক দিন আগে ছিল ১১০-১২৫ টাকা।

প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৪২০-৪৫০ টাকা। এক দিন আগে ছিল ৪০০-৪৪০ টাকা। আদা বিক্রি হয়েছে ১২০-১৮০ টাকা কেজি। এক দিন আগে ছিল ১১০-১৬০ টাকা। শুকনা মরিচ বিক্রি হয় ২৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে। এক দিন আগে ছিল ২২০-৩৩০ টাকা। এলাচ (ছোট) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৩০০-৫০০০ টাকায়। এক দিন আগে ছিল ৪২০০-৪৫০০ টাকা।

নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা মো. শাহীন বলেন, পাইকারি বাজারে একাধিক মুদি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে- যার কারণে খুচরা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো। পাইকাররা পরিবহন বন্ধের অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার সবাই সপ্তাহের বাজার করবে একটু বেশি। ফলে সব কিছু বিবেচনা করে তারা দাম বাড়িয়েছে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর