পাকশিমুলে যুবক খুনে মামলা,বাড়ি ছাড়া পুরুষ লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ , ১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

মোঃ তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল গ্রামের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে যুবক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা। গ্রেফতার ও ইজ্জতের ভয়ে মালামাল নিয়ে নারী ও পুরুষ বাড়ি ছাড়া। লুটপাটের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের
গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে হামলায় ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয় দেলোয়ার হোসেন (২০) নামে এক যুবকের। নিহত দেলোয়ার হোসেন উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের প্রবাসী হান্নান মিয়ার ছেলে। বুধবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবক দেলোয়ারের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়েপাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৩৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে।
নিহত দেলোয়ারের মা সাংবাদিকদে’র বলেন,আমার ছেলে এসব দ্বন্দ্ব সংঘাতের সাথে সে জড়িত ছিল না। আমার ছেলে অটোরিক্সা চালক। দিনভর অটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।এদিকে খুনের ঘটনার পরেই প্রতিপক্ষের ১০- ১২ পরিবারের প্রায় অর্ধশত পুরুষ সদস্য বাড়ী ছাড়া রয়েছে।
এ সুযোগে পরিবার নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও দামী আসবাবপত্র নিয়ে গেছে ও ঘর- বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে। ঘটনার পরের দিন বাড়িতে গিয়ে কোন পুরুষ পাওয়া যায়নি। বাড়ির আসবাবপত্র, বিছানাসহ সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো রয়েছে। রূপজান বেগম (৭০) বলেন, বুধবার রাতে ও সকালে ফ্রিজ, মোটর, স্বণালংকারসহ আসবাবপত্র লুট করে নেয়। রাতে রণ’দা নিয়ে তারা আমাদের উপরে আক্রমণ করেছে। আমার ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে স্বর্ণ অলংকার নগদ টাকা নিয়ে গেছে। অন্যরা ইজ্জতের ভয়ে অনত্র পালিয়ে গেছে। রাতে ঐ গোষ্ঠীর লোকজন আমাদের উপর আক্রমন করেছে,আমার ছেলের দুটি ছোট্ট নাতিকে মারতে ও নিয়ে যেতে চাইছিল, তাদের হাত থেকে রক্ষা করেছি অনেক কষ্টে করে কেদেঁ কেদেঁ বলছিলেন রূপজান বেগম। রাফিয়া বেগম( ৬০) বলেন, রাতে এসে তারা আমাদের বাড়ি- ঘরে অতর্কিত ভাবে হামলা করে,টাকা স্বর্ণালংকার নগদ টাকা এবং ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে দেখেন কি অবস্থা করে গেছে। আমরা এর বিচার চাই।আটক করা ৪ আসামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত দেলোয়ার জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।ঘটনার পরের দিন বিকেলে সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক
এসআই মো. ইউছুফ জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা এখানে নিয়োজিত এলাকা শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ বলেন, পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও যদি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর