নবীনগরে সওজ’র জায়গায় কোটি টাকার দখল বাণিজ্য !

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ , ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 weeks আগে

নবীনগরে চলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ‘র জায়গা দখলের মহোৎসব। উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাইবাংগরা বাজার এলাকায় দিনে-দুপুরে এইসব দখলের পেছনে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। প্রকাশ্যে এমন দখলে মদদদাতা সওজ’র একশ্রেণীর অসাধূ কমর্চারী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাংগরা বাজার। আর এই বাজারের পশ্চিম পাশে সড়ক বিভাগের সড়কের পশ্চিম পাশে অদের প্রসস্ত খাল। আর এই সড়ক ও খালের পাশে দখল করে দীর্ঘ দিন চলছে স্থাপনা নির্মাণের কাজ৷ সওজ’র একশ্রেণীর কর্মচারী এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরাই সরকারী জমি দখলের এই মহোৎসবের চালাচ্ছে অভিযোগ উঠে৷ শুধু দখল নয়, এর পেছনে রয়েছে কোটি টাকার আর্থিক বাণিজ্যও।

তাছাড়া এই স্থাপনা নির্মাণের ফলে সড়ক ও খাল দখলের ফলে ভোগান্তি পোহাবে বাজার এলাকার লোকজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও খালের দখলকৃত জায়গায় আর সি সি পিলার করে ও কাঠ ও বাঁশ-টিন দিয়ে ৪০-৪৫ ফুট করে প্রায় ৫০/৬০টি দোকান নির্মাণ করছে। সেখানে থাকা যাত্রীছাউনি হয়েছে সেলুন! ব্রিজের ওপরে বসেছে চায়ের দোকান। অদের খালের পাশ নদী দখল করে বসানো হয়েছে মুরগীর দোকান! তাছাড়া সড়কের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের ফলে বাজারটিতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে প্রকট আকারে। এছাড়া দিনের পর দিন খালটির অবস্থা হচ্ছে বেহাল।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা-লেখি হলে পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষতির বিষয় চিন্তা করে গত ২৩ এপ্রিল নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী’র নামের একটি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনের বিষয়ে তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ তরী’র কাছে এমন খবর আসছিলো, বাংগরা বাজারে সড়ক ও খাল দখল করে দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা তৈরী করছে দখলদারার।’ এমন সংবাদের সত্যতা যাচাই করতেই গত ২১ এপ্রিল রবিবার নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’ এর একটি প্রতিনিধিদল দখলকৃত স্থানটি পরিদর্শন করে। পরে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে গত ২৩ এপ্রিল তরী’র পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আবেদন করা হয়।

সরেজমিনের বর্ণনা দিয়ে শামী আহমেদ আরো বলেন, সরকারী জায়গায় গড়েতোলা এসব দোকানের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। এখানে যেভাবে দখলের হরিলুট চলছে তা দেখে মনে হবেনা দেশে আইন বলতে কিছু আছে!

এ ব্যাপারে বাংগরা বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল আলম রবি বলেন, প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন এখানে কোন টাকা-পয়সার লেন-দেন করা হয়নি। তারা পূর্বে থেকে দখল করে ব্যবসা করে আসছিল রাস্তার  গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে সাবেক এমপির অনুরোধে তাদের দোকান সরিয়ে নিয়েছিল। এখানে আমার বা আমার পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি,উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান করব।

মন্তব্য লিখুন