• বিনোদন লিড নিউজ
  • দিলদারকে ভোলেনি তার অগনিত দর্শক, ভুলে গেছে তার সিনেমার মানুষরা

জন্মদিনে দিলদারের ইতিকথা

দিলদারকে ভোলেনি তার অগনিত দর্শক, ভুলে গেছে তার সিনেমার মানুষরা

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ , ১৩ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ছবিতে প্রয়াত কৌতুক অভিনেতা দিলদার

কালের বিবর্তন ডেস্ক:- ঢাকাই ছবির কিংবদন্তী কৌতুক অভিনেতা দিলদার। ১৯৪৫ সালের  আজকের এইদিনে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’  চলচ্চিত্র দিয়ে।

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনয়ের জাদুকর ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর এই অভিনেতা আজও রয়ে গেছেন মানুষের হৃদয়ে। থাকবেন অনন্তকাল। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি। দিলদারহীন ১৬ বছর পার করছে সিনেমাঙ্গন।  তার চলে যাওয়ার পর থেকে ঢাকাই ছবি থেকে যেনো প্রাণ হারিয়েছে কমেডি। দিলদারের উত্তরসূরী হিসেবে কাওক চোখে পড়েনি এ অঙ্গনে।

দিলদারকে এখনও মিস করেন বাংলা ছবির দর্শক। তার অভিনীত চলচ্চিত্র এখনও প্রচার হয বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। তার মতো কেউ আর নেই বলে আফসোসে বুক বাধে দর্শকরা।

তবে দিলদার চলে গেলেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। দিলদার এখনও বাংলা ছবির কমেডি কিং হিসেবেই দর্শকদের হৃদয়ে রয়েছেন। দিলদার না থাকলেও এখনও আছে তার পরিচার। ৫৮ বছর বয়সে চলে গেলেও রেখে গেছেন  স্ত্রীর রোকেয়া বেগম ও দুই কন্যা সন্তান মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ।

দিলদারের পরিবার কেমন আছেন? প্রিয় অভিনেতার জন্মদিনে  সে খোঁজই নেয়া হয়। পরিবার থেকে তার জন্মদিনে কোন আয়োজন করছেন কিনা। দিলদার যখন পরপারে পারি দেন তখন তার বড় ময়ের বযস ২৫ বছর। এখন তিনি বাচ্চার মা। পেশায় দাঁতের ডাক্তার। তার ছেলে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়ছে আর মেয়ে পড়ছে ক্লাস সেভেনে।

আর ছোট মেয়ে জিনিয়ার একছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী মারা গেছেন। তিনি নিজেই চাকরি করে সংসার চালান। জিনিয়া আগে টেলিকমিনিকেশনে চাকরি করতেন। সেখানে থেকে চলে আসেন ব্রাক ব্যাংকে। পাঁচবছর চাকরির পর সেটিও ছেড়ে দেন। শারীরিক অসুস্থতা ও অতিরিক্ত কাজের প্রেসারে ওই চাকরিটি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এখন কোন চাকরি করছেন না।

দিলদার দিল দরিয়া ছিলেন বলে মন্তব্য তার দুই মেয়ের। চলচ্চিত্রের মানুষের যে কোন বিপদ আপদে সবার পাশে দাঁড়াতেন তিনি। তাই চলচ্চিত্র থেকে প্রাপ্ত অর্থ চলচ্চিত্রেই তার ব্যয় হয়ে যেতো বেশি।

বাবা জিবিত অবস্থায়  আমার মা একটা বুদ্ধির কাজ করেছিলেন যার ফল আমরা এখন ভোগ করছি। বাবা যা আয় করতেন ওখান থেকে টাকা জমিয়ে সারুলিয়া (ডেমরা) তে একটা পাঁচতলা বাড়ি করেছেন। ওই বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। এ খন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেয়া এবং পাঁচ তলায় আমার মা মাঝেমধ্যে থাকেন। এছাড়া তিনি চাঁদপুর এবং ঢাকায় আমাদের দু-বোনের কাছেও থাকেন। আল্লাহর রহমতে আম্মার শরীর ভালো আছে।’ জানান দিলদারের দুই মেয়ে। সেই সঙ্গে জানান প্রতি বছর বাবার জন্মদিনে বিশেষ কোন আয়োজন না থাকলেও ঘরোয়ভাবে কিছু করা হয়।

পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করেছেন দিলদার। অথচ এখন তার খোঁজ খবর নেয়না চলচ্চিত্রের কোন মানুষ। জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস কোন প্রকার স্মরণ ছাড়াই চলে যায়। দিলদারকন্যা জিনিয়া জানান, ‘আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের। বিশেষ করে কৌতুক অভিনেতা আনিস আঙ্কেল বাবার অনেক কাছের বন্ধু ছিলেন। আমাদের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি খোঁজ রাখতেন। তিনিও তো আর নেই।’

প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নাও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখতেন বলে জানান দিলদারকন্যারা।