ত্রিশালে সাইবুর এগ্রো ফার্মের সাফল্য

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ , ৯ মার্চ ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

ত্রিশাল প্রতিনিধি: শরিফ :-সাইবুর এগ্রো ফার্ম, এটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সতের পাড়া গ্রামে অবস্থিত । খামারটি ২০১৫ সাল থেকে শুরু করেন ত্রিশাল উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ সাইবুর রহমান (সাবু) ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসোবে গড়ে তুলেছেন । সাইবুর এগ্রো ফার্মটি ১২ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত । খামারটিতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রানী যেমন গরু,ছাগল,ভেড়া ও মুরগি । খামারটিতে রয়েছে ড্রাগন ফ্রুট,আম্রপালী, মাল্টা, রেডলেডি পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ।

খামারটি থেকে ২৪ বছর বয়সের সাইবুর রহমান উদ্দোক্তা হিসেবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন । তার এই খামারটি পরিদর্শনে আসেন এন.এ.টি.পি২ ডেপুটি ডেরিক্টর(ও এম ই) প্রকল্প পরিচালক ড. গৌর গবিন্দ দাস ও সাইট্রাস প্রকল্প পরিচালক দীপক কুমার পাল । আরো খামারটি পরিদর্শন করতে আসেন মোঃ আসাদুল্লাহ, অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ,ময়মনসিংহ অঞ্চল । মোঃ আব্দুল মাজেদ,উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর,খামার বাড়ি ময়মনসিংহ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ শোয়েব আহম্মেদ ।

খামারটি দেখে এলাকার নতুন উদ্যোক্তারা উদ্বুদ্ব হয়ে খামার করার ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে । খামারটি দেখে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যুব ঋণের জন্য মনোয়ন করা হয় । জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান মহোদয় ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন । খামারটি উৎপাদনমুখী খামার , এখানে উৎপাদিত পন্য দেশের ফল , সবজি, মাছ, মাংসের চাহিদা পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখে । তিনি প্রথমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১ মাসের মৎস চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষন গ্রহন করে । ৬০ হাজার টাকার ঋণ গ্রহন করে মাছ চাষের মধ্য দিয়ে খামারটি শুরু করেন । সাইবুর এগ্রো ফার্মের সাফল্য দেখে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষিত বেকার এগিয়ে আসছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য । খামারটিতে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষন দেওয়ার মাধ্যমে আত্নকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় । তিনি ই এস ডি পি বিডা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১ মাসের প্রশিক্ষন গ্রহন করেন ।

তার পরবর্তী চিন্তা ভাবনা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব ইটের প্রকল্প স্থাপন করা । আর্থিক সংকটের কারনে পরিবেশ বান্ধব ইটের প্রকল্পটি শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে । ই এস ডিপি বিডা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে । বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ অর্জনের জন্য এমন উদ্যোক্তাদের পাশে দাড়ানো সরকারের দায়িত্ব । এমন উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের এস ডি জি ( টেকসই উন্নয়নের লক্ষ ) অর্জন করা সম্ভব । আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকাররা চাকুরী পেছনে না ঘুরে সাইবুর রহমান এর মত উদ্যোক্তা হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে ।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর