ত্রাণ ব্যাবস্থায় চাই সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ , ১২ এপ্রিল ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ছবিঃ কালের বিবর্তন

এনামুল হক: বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯। বিশ্ব ও বাংলাদেশ আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানো যাবে না,গুজব ছড়িয়ে পড়লে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়বে মানুষ।করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত বৈশ্বিক এই বিপর্যয়ে বাংদেশও বিপদগ্রস্ত বৈশ্বিক মোড়ল রাষ্টগুলোও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও ভাইরাসের কোন টিকা বা ওষদ আবিষ্কার করতে পারছে না। সারদেশ এখন অঘোষিত লকডাউন বা কারফিউ চলমান।

সমাজকে সুস্থ সুন্দর আগামী ভবিষ্যত উপহার দিতে ঘরে থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।করোনাভাইরাসের জন্য মানুষ বেকার হয়ে পরায় মানবেতর জীবন যাপন করছে নিম্ন শ্রেনীর মানুষ।এ অবস্থায় সরকার ও সমাজের ধনিক শ্রেনীর লোকজন অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতায় চলছে ত্রাণ বিতরণ।এক শ্রেনীর অসাধু মানুষ গরীবের চাল,ডাল,লবণ চুরি করছে।

এতে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে।চাল,ডাল নিত্য প্রয়োজনিও খাদ্য সামগ্রী চুরির খবর প্রকাশ করায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক সমাজ আমরা চাই বৈশি^ক এই মহামারীতে যেন কেউ গরীবের চাল আত্নসাৎ করতে না পারে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গরীবের চাল নিয়ে যেন কোন ধরনের দুনীতি না হয়।অহায় দরিদ্র মানষের সরকারী ত্রাণ যেন কেউ আত্নসাদ করতে না পারে সে দিকে সচেতন থাকতে হবে সকল কে।কোন অসঙ্গতি দেখলে দ্রুত প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।সমাজের বিত্তবানরা দরিদ্র মানুষকে যারা সহায়তা করছে,ইতিহাস হয়ে থাকুক,এই দুর্দিনে তাদের মহৎ অবদান গুলো।

বৈশ্বিক এই মহামারি সময়ে যেন কোন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার না হয়।সমাজে যে কোন ধরনের গুজব ছড়াতে না পারে সে জন্য কাজ করছে সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ ভ’খন্ডের অখন্ডতা রক্ষাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবারহ করা।সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকান্ড সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা শাখা দ্বারা নিয়ন্তিত হয়।প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যে কোন জাতীয় জরুরী অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী। বহুবছর ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করছে,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদায় দেশের সেবায় নিয়োজিত।বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের চাল গরীব অসহায় মানুষ প্রয়োজনীয় হারে পাচ্ছে না।গরীব,কর্মহীনদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন বেহাত হয়ে যাচ্ছে দুষ্টচ্রক্রের মাধ্যমে,আমরা চাই গরীবের খারের চাল,ডাল,লবণ বন্টন বাংদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত হউক।

প্রথাগতভাবে ভাইরাস হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অনুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে।এরা অতি-আনুবীক্ষনিক এবং অকোষীয়,ভাইরাস জীব হিসেবে বিবেচিত হবে হবে কি না,এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে।ভাইরাস মানুষ,পশু,পাখি,উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।
কভিড-১৯ হচ্ছে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা ভাইরাস ডিজিস-২০১৯এর অফিশিয়াল নাম।চলতি সময়ে করোনাভাইরাস বিশ^ ভীতির কারন হয়ে উঠছে।করোনাভাইরাস বলতে আমরা বুঝি ইলেট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে যে ভাইরাসটি দেখা যায়,সেটি দেখতে মনে হয় এরা মাথায় মুকুট পরে আছে। ল্যাটিন ভাষায় একে বলে করোনাম শরীলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন সাত ধরনের করোনাভাইরাস রয়েছে মার্কিন সংস্থা সেন্টার ফল ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডাক্তার ঘেব্রেরেসাস মন্তব্য করেছেন যে,এখনো যতেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্বব।

উইকিপিডিয়া তথ্য অনুসারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ৯০লক্ষ যোদ্ধা ও ৫০ লক্ষ নিরীহ মানুষ নিহত হয়।প্রায় এককোটি সৈন্য এবং ২ কোটি ১০লক্ষ সাধারণ মানুষ আহত হয়।
ইনফ্লুয়েন্জা মহামারী শুরু হয়েছিল ১৯১৮ সালের জানয়ারী থেকে ১৯২০ ডিসেম্বর অবধি এটি ৫০ কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়েছিল।আনুমানিক ১.৭ থেকে ৫ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল।

১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এ যাবতকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।যুদ্ধে প্রায় কোটি থেকে কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল।
১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্নিঝড়ের কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।যার অধিকাংশয় গাঙ্গেয় বদ্ভীপের সমুদ্র সমতলের ভ’মিতে জলোচ্ছাসে ডুবে মারা যান।
বাংদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়।করোনাভাইরাসের অভিশাপে কত মানুষ প্রাণ হারাবে আমরা কেউ বলতে পাচ্ছি না।মহান আল্লাহ ভাল জানেন।কবে বন্ধ হবে এই মৃত্যুর মিছিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মানতে হবে এবং ঘরে অবস্থান করতে হবে।সরকার অসহায় কর্মহীন মানুষের ঘরে খার পণ্য পৌছে দিবেন।