ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ৭ লাখ স্যালাইন আমদানির সিদ্ধান্ত — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে দ্রুত ৭ লাখ স্যালাইন আমদানির কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

সোমবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও স্যালাইন পায় সেই কাজ সফলতার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসচ্ছে। বাইরে আমরা দেখলাম, স্যালাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই। তারপরেও আমরা সরকারি ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেন ৭ লাখ স্যালাইন দ্রুত বাজারে ইমপোর্ট করে আনা হয়। সেটার কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে স্যালাইন চলে এসেছে। আর লোকাল স্যালাইনতো তৈরিই হচ্ছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি। মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। কারণ মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগী হয়। কাজেই মশা নিধন করতে হবে। মশা নিধন করলেই রোগী কমবে মৃত্যু কমবে। আমাদের যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তার বাইরেও সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশন, পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দেই, মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেটিও আমরা করছি।’

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে আই কেয়ার ইউনিট ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এসময় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত এইচ.ই পার্ক ইয়ং সিক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
হাসপাতালটির বাস্তবায়ন সংস্থা কেওইসি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউন-ইয়ং, স্বাস্থ্য সেবা খাতের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা খানম, কেওইসিএর দেশ পরিচালক তেয়ং কিম এবং স্বাস্থ্য বিভাহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের নির্বাচিত অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ প্রকল্পটি শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার প্রকল্পটিতে ৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান করে এবং কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কেওইসি) এটি বাস্তবায়িত করে। এই প্রকল্পটি দেশে অপ্রয়োজনীয় অন্ধত্ব দূরীকরণে অগ্রগতি সাধন করেছে এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রদান করছে।

মন্তব্য লিখুন