জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। এ সময় তারা রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে আহতদের চীন নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনা চিকিৎসক দলের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পরিদর্শন শেষে সংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪২ জন রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছে চীনা প্রতিনিধি দল। এসময় আহতদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধার বিষয়েও তথ্য নেন তারা। সময় ও সুযোগ পেলে আহত সকলকে চিকিৎসা দেবে চীনা বিশেষজ্ঞরা। আহতদের কাউকে দেশের বাইরে নিতে হলে তার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের।
চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং বলেন, আমাদের চিকিৎসসকরা আহতদের দেখতে এসেছেন। তারা কিভাবে আহত হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের অবস্থা কেমন তা দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাদের কি ধরনের উন্নতি হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞ দল রোগীদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও উন্নতির বিষয়গুলো দেখছেন। তারা চক্ষু হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধাও দেখেছেন। সম্ভব হলে তারা এখানকার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করবেন। আর যদি প্রয়োজন হয় তারা রোগীদের চীন নিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, প্রথম দফায় ২০ জন রোগী নির্বাচন করা হয়। আরও ছয়জনকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। এই ২৬ জনকে তারা দেখবেন। সুযোগ ও প্রয়োজন হলে বাকিদেরও তারা দেখবেন।
এছাড়াও চীনের বিশেষজ্ঞ দল জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আহতদেরও দেখতে যাবেন।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসে চীনা মেডিকেল টিম। এতে রয়েছে চীনা চিকিৎসক ডং কুইআনের নেতৃত্বে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জহির রায়হান
প্রধান কার্যালয়ঃ ১০৭ মতিঝিল বা/এ, ৯ম তলা, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
মোবাইলঃ 01713-733969, 01924-665561, ইমেইলঃ news@kalerbiborton.com
© কালের বিবর্তন ২০১৯ - ২০২৪ সর্বসত্ব সংরক্ষিত