ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী

ক্যাসিনো সাঈদের নগদের পরিমাণ স্ত্রীর শতাধিক গুণ  কম! 

প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ , ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 11 months আগে
এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ (ক্যাসিনো সাঈদের) নগদ অর্থ স্ত্রীর নগদ অর্থের চেয়ে শতাধিক গুণ কম। তবে ব্যাংকে জামানতের পরিমাণ স্ত্রীর সম্পদের চেয়ে বেশি রয়েছে।

শুধু নগদ অর্থই কম নয়, বিগত ৫ বছরে কমেছে আয়ের পরািমাণ ও বেড়েছে মামলা। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তার স্ত্রী ও নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী পেশ করে হলফনামায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, এ.কে.এম মুমিনুল হক সাঈদ ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে ঢাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) চালানো ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় আলোচনায় আসেন মমিনুল হক সাঈদের নাম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা। মমিনুল হক সাঈদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেছিলেন সাঈদ। র‌্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় গোপনে দেশ ছাড়েন তিনি। পরবর্তীতে অভিযান থেমে গেলে দেশে ফিরেন সাঈদ।

তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা মোতাবেক ২০১৮ সালে মমিনুল হক সাঈদের নগদ অর্থ ছিলো ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৯৭ টাকা, এবং স্ত্রীর নগদের খাতে ছিলো না কিছুই। কিন্তু বর্তমান হলফনামায় সাঈদের নগদ কমে ১৭ হাজার ৭৮০ টাকা এবং স্ত্রীর নগদ শূন্য থেকে ২০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৩৯ টাকা।
তাছাড়া ২০১৮ সালে সাঈদের নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার খাত ছিলো শূন্য। কিন্তু বর্তমানের সেই খাতের পরিমাণ ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯২ টাকা।

সাঈদের সম্পদের বিবরণী বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, নগদ অর্থের পরিমার আছে ১৭ হাজার ৭৮০ টাকা, তার স্ত্রীর নগদ অর্থ ২০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৩৯ টাকা । নিজের নামে ৬০ ভরি, স্ত্রীর রয়েছে ৫০ ভরি। অপরদিকে তার নামে ২০১৮ সালের ব্যাবসায়িক তুলনায় ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়ক প্রাইজ বন্ড রয়েছে বিগত পাঁচ বছর আগের ন্যায়।

তবে প্রার্থী সাঈদ ও তার স্ত্রীর কৃষি-অকৃষি জমি, দালান বা বাড়ি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া গত বছরের বেড়েছে মামলার পরিমাণ। ২০১৮ সালে সাঈদের হলফানামায় উল্লেখ ছিলো

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম বলেন, ‘সব প্রার্থীই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিয়েছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, তবে কারও ব্যাপারে কোনো আপত্তি আসলে, তা আবার যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর