কসবায় তৃতীয় দিনেও বন্ধ হয়নি গ্যাসের চাপ, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও বাপেক্সের কর্মকর্তাগণ

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ছবি - কালের বিবর্তন

জহির রায়হান : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাসানো নলকূপ দিয়ে তীব্র গতিতে বের হওয়া গ্যাস বন্ধ হচ্ছে না।

আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) তৃতীয় দিনও আরও তীব্র গতিতে গ্যাস ও পানি একসাথে বের হওয়ায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও দুটি গাছ ভেঙে গেছে। এছাড়া অর্ধেক মাটির নিচে তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের একটি ভবন। এতে করে যেকোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

দুর্ঘটনা এড়াতে আশে-পাশের লোকজনদের রান্না-বান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে ওই এলাকার জনসাধারণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌল্লা খান, বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষন করতে হবে। যেহেতু এটি গ্যাসের বিষয় তা আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। বিড়ি-সিগারেটসহ যেকোন আগুন লেগে গেলে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌল্লা খান বলেন, বাপেক্সের প্রকৌশলীসহ উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
এগুলো তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই গ্যাস,পানি ও বালু প্রবাহিত বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। লোকজনদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এলাকাটির আশে-পাশে যেন কোন আগুন না ধরানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমসহ এলাকার লোকজনদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন বলেন, আগুন থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আশে-পাশের বাড়িগুলি থেকে রান্না-বান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রবল দ্রুতগতিতে প্রবাহিত গ্যাস, পানি আর বালু প্রবাহিত হয়ে পুকরে গিয়ে পতিত হচ্ছে। পুকুরের মাছগুলিও মরে যাচ্ছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শুক্রবার দুপুরে শেরোংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে একটি জরুরী বৈঠক করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন. কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন, বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল-মামুন ভূইয়াসহ ওই এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, বাপেক্সের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যেহেতু ৫৪০ ফুট গভীর করা হয়েছে। ওই ৫৪০ ফুট এলাকার গ্যাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস বের হতে থাকবে। তারপরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন রোববারের মধ্যে পেয়ে গেলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বৈঠক করে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর