আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো’র হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ১৫ মার্চ সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯৬। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৫ হাজার ৯২২ জন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ১৪৫টি দেশের মানুষকে। সবাই এক রকম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইতালিতে এখন ঘরে ঘরে কারাগারের মতো অবস্থা। সরকারি নির্দেশে দেশটির সবাই এখন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। অবরুদ্ধ ইতালিতে বন্দিজীবনে অলস সময় পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। জীবন যেন থমকে গেছে। সুস্থ থাকলেও ঘরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
উৎপত্তিস্থল চীনে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮২৪। এর মধ্যে তিন হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৬ হাজার ৯১১ জন।
ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ১৫৭। এর মধ্যে এক হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে এক হাজার ৯৬৬ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের সারিতে থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নাম উল্লেখযোগ্য।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইতালির সরকার। বন্ধ রয়েছে স্কুল। স্থগিত করা হয়েছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। খেলাধুলার অনুষ্ঠান বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। জনসমাগম স্থল এখন পুরো ফাঁকা। ওষুধ ও খাবারের দোকান বাদে সব কিছু বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভ্রমণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে বাবা-মাকে কাছে পাচ্ছে তাদের সন্তানরা। ইউরোপের দেশগুলোতে যে চিত্র খুবই কম চোখে পড়ে। বন্দি অবস্থায় কেমন আছে সেখানকার মানুষগুলো।
ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় সান ফিয়োরানো শহরে বসবাসরত স্কুলশিক্ষক মারজিও টনিওলো বলেন, মৌলিক প্রয়োজন ও জরুরি কাজ ছাড়া বর্তমানে বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছেন না। যে কোনো ক্ষেত্রে, জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দিয়ে তবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।
মারজিওর ছোট্ট মেয়ে বিয়ানকা টানিওলো বাড়িতে বসে কখনও করোনাভাইরাসের ছবি আঁকছে, আবার কখনও পুতুল নিয়ে খেলছে। বাড়ির বাইরের লনে পুতুলের সঙ্গে চড়ূইভাতি করেও সময় কাটছে শিশুটির। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সান ফিয়োরানো শহরটিই প্রথম নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে।
বন্দি অবস্থায় দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মগুলো নথিভুক্ত করেছেন সান ফিয়োরানো শহরের বাসিন্দা। এসব ছবি ও ভিডিওগুলো সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পাঠিয়েছেন তিনি। স্ত্রী চিয়ারা, দুই বছর বয়সী মেয়ে বিয়ানকা ও তার দাদা-দাদি ইনস ও জিনোকে নিয়ে এক বাড়িতেই থাকেন টনিওলো। পুরো ইতালির চিত্র একই রকম। ইমেইলের মাধ্যমে সিএনএনকে মারজিও জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি আমি বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা ঘটছে, যা আমাদের জীবনকে বদলে দেবে। এখন পর্যন্ত আমি সে অবস্থার মধ্যেই রয়েছি। আমি চাই, এ অবস্থায় আমার ও আমাদের মেয়ের স্পষ্ট স্মৃতি ধরে রাখতে।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এরা পাকিস্তানের দালাল :...
বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এরা পাকিস্তানের...
স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা-সাভার রুটে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা
স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা-সাভার রুটে বিকল্প সড়ক...
গাজায় হত্যা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক...
গাজায় হত্যা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না...
সৌদিতে ঈদে টানা ৬ দিনের ছুটি
সৌদিতে ঈদে টানা ৬ দিনের ছুটি
স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি: আহসান...
স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে...
ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাজার ব্যবস্থা কি ঠিক...
ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বাজার ব্যবস্থা...