আশুগঞ্জের ‘ইউএনও বক্স’ এ শিক্ষার্থীদের পরামর্শসহ বিভিন্ন অভিযোগের ২৫ চিঠি

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
ছবি - কালের বিবর্তন

জহির রায়হান : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুইটি বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ‘ইউএনও বক্স’ এ বিভিন্ন ধরণের ২৫টি অভিযোগসহ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সপ্তাহের প্রতি বুধবার বক্সটি খোলার অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে দুইটি স্কুলের বাক্স খুললে এসব অভিযোগ ও পরামর্শের মোট ২৫টি চিঠি পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, বাড়তি ফি আদায়, শব্দদূষণ, প্রাইভেট শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রীম প্রশ্নপত্র সরবরাহ, শিক্ষকদের দুর্ব্যবহার ইত্যাদি। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ ও স্প্রিডব্রেকার নির্মাণ, বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করতে মা সমাবেশ ইত্যাদি করার পরামর্শ দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দায় বুধবার ওই দুই বিদ্যালয়ে নিজে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ বাক্স খোলেন।

এ সময় তিনি জানান, যেসব অভিযোগ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইউএনও’র উদ্যোগেই বাক্স স্থাপন করা হয়।

গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলা সদরের রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইটি ‘ইউএনও বক্স’ স্থাপন করা হয়েছে। কাঠা ও কাচ নিয়ে এ বাক্স তৈরি করা।

বুধবার রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাক্সে ১৯টি ও সরকারি হাজি আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাক্সে ছয়টি লেখা পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে ১০টি পরামর্শ ও তিনটি অভিযোগ রয়েছে। বাকিগুলো ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা।

রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল আজাদ বলেন, ‘ইউএনও স্যার নিজেই বক্স স্থাপন করেছেন গেছেন এবং নিজে এসেই শিক্ষার্থীদের লেখাগুলো নিয়ে গেছেন। তবে কি ধরণের অভিযোগ বা পরামর্শ ছিলো সেটা আমরা জানতে পারি নি। এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সরাসরি যেসব বিষয় বলতে পারতেন না সেগুলো বলা তাঁদের জন্য সহজ হবে।’

প্রসঙ্গত, ভাল রেজাল্টের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত অপরাধ, নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্লাশ প্রমোশন, সেকশন পরিচালনা, অতিরিক্তি শিক্ষার্থী ভর্তি, বাড়তি ফি আদায়, আর্থিক অনিয়ম, বুলিং, র‌্যাগিং এসব সমস্যা সংক্রান্ত তথ্যগুলো সঠিক সময়ে প্রশাসনের কাছে পৌঁছায় না। এছাড়া শিক্ষার্থীরা পরিবারের ভয়ে কিংবা শিক্ষকদের সাথে খোলা মেলা কথা বলতে না পারার কারনে অনেক সময় চুপ করে থাকেন। এসব চিন্তা মাথায় রেখেই এ ধরণের বক্স স্থাপনের চিন্তা করা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রতিটি বিদ্যালয়েই বক্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর