নবীনগর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়

অপসারণকৃত ঘর আবারো নির্মাণের পায়তারা জারু মিয়ার!

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ , ২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 7 months আগে
নবীনগর সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জায়গা অনিয়মভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক জহির উদ্দিন ওরফে জারু মিয়া বিরুদ্ধে। দলিল লেখক সমিতির ভবন থাকা সত্ত্বেও সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই একটি টিন সেডের ঘর নির্মাণের মাধ্যমে জায়গাটি দখল হচ্ছে বলে জানা যায়। জহির উদ্দিন ওরফে জারু মিয়া নবীনগর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, নবীনগরের সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভিতরেই রয়েছে দলিল লেখক সমিতির ভবন। কিন্তু তারপরেও ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন দলিল লেখক সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা মোঃ জহির উদ্দিন ওরফে জারু মিয়া নবীনগর সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর আবেদর করেন নতুন আরেকটি বসার স্থান দেয়ার জন্য। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা রেজিষ্ট্রার শেখ মোঃ আনোয়ারুল হক সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের বাউন্ডারির ভিতর বসে কাজ করার অনুমতি প্রদান করে। তবে সেই অনুমতি প্রদানের চিঠিতে কোনো রকম স্থাপনা বা ঘর নির্মাণ করার অনুমতি ছিলো না।

কিন্তু সেসময় আবেদনকারী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন ওরফে জারু মিয়া একটি টিন শেড ঘর নির্মাণ করে জায়গাটি দখল করে ফেলেছিলেন এবং সেই ঘরে বসে তার দলিল লেখার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার অভিযোগে সেই ঘরটি সরিয়ে নিতে বাধ্যহন জহির উদ্দিন। তবে ২০২৪ সালে পুনরায় আবারও সেই স্থানটিতে টিন সেড ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়েছে এই জহির উদ্দিন।

খবর পেয়ে গত শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়ক থেকেই টুং টাং বাড়ির আওয়াজ। সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ফটকের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় ৩-৪ জন লোক একটি বাউন্ডারি মধ্যে টিনের ঘর নির্মাণের কাজ করছে। শ্রকিদের ভাষ্য মতে বিগত ২-৩ ধরে তারা কাজ করছেন এই ঘর নির্মাণে। আর ঘর নির্মাণস্থানের ফ্লোরটি আগেই ছিলো।

এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ওরফে জারু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, ঘরটি তোলার অনুমোদন রয়েছে। জেলা রেজিষ্ট্রটারই এই অনুমোদন দিয়েছে। তবে কিসের ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে? দলিল লেখক কার্যালয়ের নিজ আসনে কেনো বসতে চান না? এবং ২০১৭ সালে ঘরটি নির্মাণ করে আবার অপসারণের কারণ কি? এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সাথে কোনো কথা বলতে চান না বলে জানিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।

স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিষ্ট্রার লুৎফুর কবির জানান, নবীনগর সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের সামনে দলিল লেখক জহির উদ্দিনের ঘর নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে আসলে পুরোপুরি বিষয়টির ঘটনা আমি ভালো করে জানি না। তাই নবীনগর সাব রেজিষ্ট্রারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট দেয়ার জন্য। বিষয়টিতে কোনো রকম অসংগতি থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি অবগত আছি যদি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার লিখিত উচ্ছেদের সহযোগীতা চান সে ক্ষেত্র আমি সহযোগীতা করব।

 

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর