মহালয়া উপলক্ষে বুটেক্সে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত দেবী আগমনী-২০২৪

প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ , ২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 month আগে
ছবি- কালের বিবর্তন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সনাতনী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মহালয়া উপলক্ষে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় দেবী আগমনী-২০২৪। আজ বুধবার (২ অক্টোবর) মহালয়ার মধ্যে দিয়ে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে।

উক্ত অনুষ্ঠানটি আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার ও সনাতনী শিক্ষার্থীবৃন্দ।

দেবী আগমনী-২০২৪ অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় ভোর ৫ ঘটিকায় শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে। এরপর ভোর ৬:০০ ঘটিকা হতে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান ও নাটক পরিবেশন করে। অতঃপর সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় হরিনাম সংকীর্তন শুরু হয় এবং সবশেষে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার বলেন, সনাতনী ছাত্রদের দ্বারা প্রথমবারের মত দেবী আগমনীর আয়োজন আমাকে বিমোহিত ও গর্বিত করেছে। সনাতনী শিক্ষার্থীরা এই ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবতার বন্ধন চিরজাগ্রত করুক। বিশ্বদরবারে তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক মায়ের শ্রী চরণে আমার এই প্রার্থনা।

আমার শিক্ষার্থীদের ও সমগ্র সনাতনীদের মঙ্গলের জন্য মা প্রতি বছর পৃথিবীতে আসেন। মা এইবারও এসেছেন। আমাদের সকল ভক্তি-শ্রদ্ধা উজাড় করে যেন মা তোমাকে বরণ করে নিতে পারি, তুমি আমাদের শক্তিদায়িনী মা ও আমাদের রক্ষা কর এই প্রার্থনা করি। আমার শিক্ষার্থীদের মঙ্গল হোক এবং আমি তাদের শুভকামনা করছি।

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জয় পাল জানান, মহালয়া হল মাতৃপক্ষের শুভ সূচনা। হিন্দু শাস্ত্র মতে দেবী দূর্গার আগমনী মঙ্গলবার্তা নিয়ে আসে এই দিন।
বুটেক্স ক্যাম্পাসে এই ১ম মহালয়া উদযাপন একটি অনন্য দৃষ্টান্তের সূচনা। আশা করি প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা কামনা করছি।

ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আকাশ সাহা বলেন, ছোট বেলায় ভোরবেলা উঠে মহালয়া দেখা এখন স্মৃতি হয়ে গেছে। আমাদের এই স্মৃতি পুনরায় জাগ্রত করার এক বিশাল সুযোগ গেল আজকে। নানা ব্যস্ততার মাঝে মহালয়া উপলক্ষে বাড়ি যাওয়া হয় না অনেক বছর। এমন কি ভোরে উঠে মহালয়া শুনা বা দেখাও হয় না।

আজকের এই আয়োজন আমাকে ছোট বেলাতে নিয়ে গেছে। দেবীর আগমনে সকলের মাঝে সুখ,সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি আসুক। আশা করি সামনের সময়ে আরো বিশাল পরিসরে দেবীর আগমনে মহালয়া আমরা ক্যাম্পাসে পালন করতে পারব।

উল্লেখ্য, পুরাণ অনুযায়ী মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গা ব্রহ্মার কাছ থেকে মহিষাসুরকে বধ করার দায়িত্ব পান। মহিষাসুরকে পরাজিত করার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর যে মহামায়ারূপী নারী শক্তি তৈরি করেন তিনিই দশভূজা দেবী দুর্গা। দেবী দুর্গা টানা ৯ দিন যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করেন।

মন্তব্য লিখুন